Blogger দিয়ে পরিপূর্ণ ব্লগ তৈরী (ধারাবাহিক পর্ব - ২)


আপনারা হয়তো জানেন যে, কারও ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক কাজের জন্য ব্লগ তৈরী করার সবচেয়ে সহজ প্লাটফর্ম হচ্ছে Google এর Blogger. খুব সহজে এবং কোন প্রকার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জ্ঞান ছাড়াই ব্লগার দিয়ে সহজে ব্লগ তৈরী করা যায়। তাছাড়া এটি Google কোম্পানির হওয়াতে কোন প্রকার সংকোচ ছাড়াই ব্লগিং চালিয়ে যেতে পারবেন।

প্রায় এক মাস হয়েছে আমরা এই ব্লগটি চালু করেছি। আপাতত আমাদের অন্য স্টাফরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় আমি নিজে একাই ব্লগিং চালিয়ে যাচ্ছি। তাই সময়ের অভাবে সব ধরনের পোষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও এ পোষ্টটি ব্লগিং শুরুরদিকে করা উচিত ছিল কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম হয়তো এগুলি সহজ ব্যাপার। তাই শুরুতে এ গুলি বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে অনেকের অনুরোধে ব্লগ তৈরী নিয়ে পোষ্ট করতে বাধ্য হলাম। আমাদের এই পোষ্টটি ধারাবহিকভাবে চলবে। প্রত্যেকটি পোষ্ট করার পর নিচের টেবিলে লিংক করে দেয়া হবে।
  1. New Post: এখানে ক্লিক করে নতুন পোষ্ট করতে পারবেন। প্রতিবার নতুন পোষ্ট করার সময় এই হলুদ বাটনটিতে ক্লিক করতেই হবে। 
  2. Overview: এখানে ক্লিক করে জানতে পারবেন আপনার পোষ্টের কতটি কমেন্ট Approve করার জন্য Pending আছে, কতটি কমেন্ট Published করা হয়েছে, আজকে কতবার পোষ্ট দেখা হয়েছে, কতটি পোষ্ট করেছেন, আপনার ব্লগের কতজন Followers রয়েছে এবং কোথা হতে বা কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্লগে ভিজিটররা আসছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। 
  3. Posts: আপনি এ যাবত যতটি পোষ্ট করেছেন তার সব তালিকা এখানে তারিখ অনুযায়ী দেখতে পাবেন। কোন পুরাতন পোষ্ট ডিলিট কিংবা কোন পরিবর্তন করতে চাইলে এখান থেকে করতে পারবেন। 
  4. Pages: এখানে সাধারনত ব্লগ সম্পর্কে বিভিন্ন সাফাই গাওয়া হয়। যেমন ধরুন-আপনার ব্লগ সম্পর্কে, আপনার নিজের সম্পর্কে, ব্লগের পলিসি, কনটাক্ট পেজ ইত্যাদি টাইপের বিভিন্ন পেজ তৈরী করা হয়।  
  5. Comments: আপনার ব্লগের কোন পোষ্টে কতটি কমেন্ট করা হলো, কোন কমেন্ট ডিলিট করা, কমেন্ট অনুমোদন দেওয়া এবং স্প্যাম কমেন্ট ডিলিট করার কাজে ব্যবহৃত হয়।  
  6. Google+: এটি ব্যবহার করে আপনার ব্লগার প্রোফাইল-কে Google+ Profile এর সাথে Connect করতে পারবেন। এর ফলে আপনার পোষ্টগুলি সহজে আপনার Google+ Profile এ শেয়ার করতে পারবেন। আবার ইচ্ছে করলে Disconnect করতেও পারবেন।  
  7. Stats: এখান থেকে আপনার ব্লগের ট্রাফিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এটি প্রায় Overview অপশন এর মত। তবে এখান থেকে কোন পোষ্টে কতটি View, কোন ধরনের ব্রাউজার ব্যবহার করে আপনার ব্লগে ভিজিটররা আসলো, কোন কোন দেশ হতে ভিজিটররা আপনার ব্লগ ভিজিট করলো এবং কোন Operating System ব্যবহার করে আপনার ব্লগে ভিজিট হলো ইত্যাদিসহ আরও অনেক বিস্তারিত জানতে পারবেন।  
  8. Earning: আপনার ব্লগটি যদি ভালমানের হয় এবং প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে, তাহলে Google Adsense Approved করে আপনার ব্লগে Advertisement ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে এটি এখনো বাংলা ভাষা সাপোর্ট করছে না। Adsense Approved করতে হলে আপনার ব্লগটি অবশ্যই English হতে হবে। এ নিয়ে আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো।  
  9. Campagins: এটি মূলত Google AdWords এর একটি অংশ। এটির ব্যবহার করার জন্য আপনার অনেক অভীজ্ঞতা থাকতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  
  10. Layout: ব্লগার টেমপ্লেট এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এই Layout. এটি ব্যবহার করে আপনার ব্লগে বিভিন্ন ধরনের Gadget ব্যবহার করতে পারবেন। ব্লগ সাজানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  
  11. Template: এটি হচ্ছে ব্লগারের প্রাণ। এটি ছাড়া ব্লগের কথা চিন্তাই করা যায় না। এটি Edit করে আপনার ব্লগের সম্পূর্ণ কাজ পরিচালনা করতে পারবেন। আপনার ব্লগে যত ধরনের ডিজাইন এবং পরিবর্তন করা দরকার তার সব কাজ এখানে করতে হবে।  
  12. Settings: এই সহজ কথাটি আমরা সবাই বুঝি। কাজেই বেশ কিছু বলতে চাচ্ছি না। এখান থেকে ব্লগের নাম, ব্লগের বিবরণ এবং ব্লগ এড্রেস পরিবর্তনসহ আরও অনেক কাজ করতে পারবেন।
পরবর্তী পোষ্টে যা থাকছেঃ পরবর্তী পোষ্টে আমরা ব্লগার ড্যাশবোর্ড এর সবগুলি অপশন নিয়ে আলাদা আলাদা পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করবো, ইনশাআল্লাহ্। আশাকরি আমাদের সাথে থাকবেন।